প্রবাস আলো ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে দুই লাখেরও বেশি বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিক আশঙ্কা করছেন যে তারা বেশির ভাগই শীঘ্রই অবৈধ হয়ে উঠবে । যদিও ইতোমধ্যে অনেকেই অবৈধ হয়েছেন কারন এই মুহূর্তে ইরাকে ভিসা নবায়ান স্থগিত রয়েছে।
শ্রমিকরা বলছেন যে তাদের অনেক সহকর্মী যারা বাগদাদ, বাসরা, কারবালা ও নাজাফের মতো জায়গায় থাকেন ইতোমধ্যে তারা অবৈধ হয়ে গেছেন এবং তাদের কয়েকজনকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার ও করেছে । করোনা মহামারী শিথিল হওয়া শুরু করায় ধীরে ধীরে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করেছে ইরাকি কর্তৃপক্ষ।
ইরাকে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা বলেছেন যে প্রায় আড়াই লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে অবস্থান করছেন তাদের অনেকে ভিসা নবায়ন করতে পারেননি। তারা বলেছে যে ইরাকি সরকারের সাথে নানাভাবে তদবির করার পরেও তারা দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে কর্তৃপক্ষকে ভিসা নবায়ন শুরু করার ব্যাপারে রাজি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তারা বলেছেন যে ইরাকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অভিবাসী শ্রমিক বান্ধব নয়। দূতাবাস ইরাকি সরকারকে সাধারণ ক্ষমার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, তবে তারা কেবল আশ্বাস পেয়েছেন কোন বাস্তবায়ান এখনো দৃশমান হয়নি।
ইরাকে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু মাকসুদ এম ফরহাদ বলেন যে একজন প্রবীণ ইরাকি কর্মকর্তা তাকে মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা নিয়ে শ্রমিকদের সাধারণ ক্ষমা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন যাতে তারা ঝামেলা ছাড়াই চাকরি চালিয়ে যেতে পারেন। তিনি বলেন, ‘ইরাকে ভিসা কার্যক্রম এখন পুরোপুরি স্থগিত করা হয়েছে।’
শ্রমিকরা বলেছিলেন যে তারা এই সঙ্কটের কারণে অনিশ্চয়তায় জীবনযাপন করছেন।
বাগদাদে অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রবাসী মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেছেন যে,ইরাকের অনেক অভিবাসী শ্রমিক ভিসা বিহীন কাজের আইনী অনুমতি না পাওয়ায় অমানবিক জীবন যাপন করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তারের ভয়ে থাকি।
বাগদাদে গাড়ি শো-রুমে কর্মরত মাসুদ রানা শাহিন বলেছিলেন যে তিনি সেখানে অবৈধভাবে বসবাস করছেন, যা তাঁর জীবনে অনেক সমস্যা তৈরি করেছে। তিনি বলেন, ‘পথে ইরাকি চেকপোস্ট পেরিয়ে আমি বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছেও জেতে পারি না কোন সাহায্য নিতে।
অপর এক প্রবাসী কর্মী জে এস মাসুদ রানা জানান, তাঁর বাসভবনে কেবল আগস্টে চারবার অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি অভিযানের গ্রেফতার না হলেও তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরও বক্তব্য পেশ করেন নোমান হোসেন রোজেল আহ্মেদ খান সাদাত হোসেন শাকিব
শ্রমিকরা বলেছিলেন যে তারা বিশ্বাস করে যে দু’দেশের সরকারের মধ্যে কেবল একটি বোঝাপড়াই এই সংকট সমাধান করতে পারে।
প্রবাস-আলো/এম এম