কোরিয়ান সন্ত্রাসী হামলার শিকার বাংলাদেশী

  1. দক্ষিণ কোরিয়ায়  ৩০ বছরের যুবক ছুরি  দিয়ে অতর্কিত হামলা করে কোরিয়া প্রবাসীবাংলাদেশী নাইমুর রহমানের উপর ঘটনা স্থানে ইমার্জেন্সি পুলিশ এসে নাইমুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ।

গত বৃহস্পতিবার এক বাংলাদেশী ভাইয়ের সাথে মা-বাবা ও বোনের জন্য কিছু ঔষধ ও কসমেটিক্স উপহার সামগ্রী পাঠানোর কাজ শেষ করে বাসায় যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেয়।

যথারিতি বাস স্টপেজ থেকে নেমে কোম্পানিতে হেটে যাওয়ার সময় একজন কোরিয়ান(প্রায় ৩০ বছর বয়সী যুবক) রাস্তা ক্রসিং হওয়ার সময় হটাৎ করে, নাকের কাছ বরাবর ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে।

আবার যখন মাথায় আঘাত দিতে যায় তখন হাত দিয়ে প্রতিহত করলে মাথায় সজরে আঘাত করে এবং আঘাতের কারনে মাটিতে পড়ে যায়। উঠে দৌড় দিলে ঘাতক সন্ত্রাসী পিছন দিয়ে তাকে ধরার জন্য দৌড় দিতে থাকে। দৌড়ানো অবস্থায় ইমারজেন্সি পুলিশে কল দেই।

পুলিশ কিছুক্ষণের মধ্যে চলে এসে প্রথমে পুলিশের গাড়িতে অতঃপর এম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

কাছাকাছি থাকা হাসপাতালে এটার রাতে চিকিৎসা সম্ভব হবে না দেখে পুলিশ আরেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে । সেখানে পরের দিন তার নাকে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়।

ঘাতক কোরিয়ান সন্ত্রাসী কে ঘটনার পরের দিনই পুলিশ তার বর্ণনা অনুযায়ী সিসি ক্যামেরা চেক করে তাকে ধরতে সক্ষম হয়।

এই ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে এক ধরনের ভয় কাজ করছে।

তাদের দাবী কোরিয়ান আইন অনুযায়ী যেন হামলাকারীর বিচার হয়।

আর কোন প্রবাসী যেন এ ধরনের হামলার শিকার না হয় এ জন্য তারা বাংলাদেশ দূতাবাসের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।