প্রবাস আলোর ডেস্ক: ফিফার মহাসচিব থাকাকালে সেপ ব্ল্যাটারের সঙ্গে দুর্নীতিতে জড়িয়েছিলেন। এসব কাণ্ড কমিটির কাছে ধরা পড়ার পর ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন ১০ বছর। টেকেনি সম্পদও। সুইজারল্যান্ডের আদালতে হাজির হয়ে আজ ভালকে-কে তাই বলতে হচ্ছে, আমার সব শেষ হয়ে গেছে। কথায় আছে-পাপ বাপকেও ছাড়ে না
তা নয় তো কী! ভালকের কথার সুর এমনই। আদালতে তিনি বলেছেন, তাঁর কোনো আয় নেই। নিজের বিলাস বহুল ইয়ট বেচতে হয়েছে। এমনকি স্বর্ণালংকারও বিক্রি দিতে হয়েছে তাঁকে। আদালতে এই নিয়ে দ্বিতীয় দিন হাজিরা দিলেন ফরাসি ফুটবল প্রশাসক। বিশ্বকাপের টিভি স্বত্ব নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছে ভালকে এবং পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফির বিরুদ্ধে। ২০১৪ বিশ্বকাপে টিকিট বিক্রি এবং অন্যান্য দুর্নীতির অভিযোগে ১০ বছর নিষিদ্ধ হন ভাল্কে
পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফি। তিনিও অভিযুক্ত।
পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফি। তিনিও অভিযুক্ত।
২০১৫ সালে ফিফার চাকরি হারান ভালকে। এরপর থেকেই ‘বেকার বসে আছেন’ বলে জানিয়েছেন তিনি। আদালতে ৫৯ বছর বয়সী ফিফার সাবেক এ মহাসচিব বলেন, ‘পরিবার আছে কিন্তু কোনো কাজ নেই, এমন পরিস্থিতিতে টাকা খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়।’ ২০১৭ সাল থেকে ‘ইউরোপে কোনো ব্যাংক হিসাব খুলতে পারছেন না’—জানিয়েছেন ভালকে। ব্যাংক হিসাব খুলতে পরের বছর স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে তাঁর। ফিফার চাকরি খোয়ানোর পর বেশ কয়েকবার নতুন করে জীবন শুরুর চেষ্টা করেছেন ভালকে। কিন্তু ফিফার হস্তক্ষেপের জন্যই তা পারেননি বলে জানান তিনি।
আদালতে ভালকে নিজের সঙিন অবস্থা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘দেশে কৃষিকাজ শুরু করেছি। আশা করি সামনের কয়েক মাসের মধ্যে ফসল তুলে আয় করতে পারব।’ এর বেশি না বলে তিনি জানান, নিষিদ্ধ হওয়ার পর ‘দুই-তিনবার নতুন জীবন শুরুর চেষ্টা’ করেছেন। কিন্তু বারবার ফিফার হস্তক্ষেপে ‘সব কেঁচে’ যায়। খেলাইফির কাছ থেকে ‘অবৈধ সুবিধা’র বিনিময়ে ২০২৬ ও ২০৩০ বিশ্বকাপের টিভি স্বত্ব উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে বিইন মিডিয়াকে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে ভালকের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া গ্রিক ব্যবসায়ী দিনোস দেরিওসের সঙ্গেও টিভি স্বত্ব নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
পিএসজি সভাপতি খেলাইফির বিরুদ্ধে অভিযোগ বিইন মিডিয়ার চেয়ারম্যান হিসেবে ফিফায় ভালকের তৎকালীন ক্ষমতার অপব্যবহারের চেষ্টা করেছেন। দোষী প্রমাণিত হলে দুজনেরই পাঁচ বছরের জেল হতে পারে। ফিফায় দুর্নীতির কারণে এর আগে সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন ব্ল্যাটার।
প্রবাস আলো/এস এম