অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন দেশে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে কাগজি টাকার প্রচলন শুরুর মাধ্যমে বিজয় মুকুটের উজ্জ্বল পালকটি যুক্ত হয় ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ।
১৯৭২ সালের ৪ মার্চ প্রথমবারের মতো স্বাধীন বাংলাদেশের নিজস্ব ১ ও ১০০ টাকার ব্যাংক নোটের প্রচলন হয়।
তার আগে এ দেশে পাকিস্তানের ব্যাংক নোট প্রচলিত ছিল এবং মুদ্রার নাম ছিল রুপি। স্বাধীন বাংলাদেশের মুদ্রার নাম রাখা হয় টাকা। বিশ্বের কয়েকটি দেশের মুদ্রার নাম একই ধরনের। তবে বাংলাদেশের মুদ্রা হিসেবে টাকা নামটি স্বতন্ত্র। ৪ মার্চ ১৯৭২ তারিখে প্রকাশিত দুটি ব্যাংক নোট ভারতের সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে ছাপানো হয়। ১ টাকার নকশায় বাংলাদেশের মানচিত্র ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ কথাটি স্থান পায় এবং তাতে স্বাক্ষর করেছিলেন সে সময়ের অর্থসচিব কে এ জামান। অন্যদিকে ১০০ টাকার নকশায় দেখা যায় বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এবং তাতে লেখা থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১০০ টাকার ব্যাংক নোটটি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম গভর্নর এ এন হামিদ উল্ল্যাহ্ স্বাক্ষরিত।
নিজস্ব নোট ও মুদ্রা একটি স্বাধীন দেশের সার্বভৌমের প্রতীক। তাই,২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র ব্যাংকনোট এবং মুদ্রা বিষয়ক তথ্য ও গবেষণাধর্মী পত্রিকা ‘কালেক্টার’ ৪ মার্চকে ‘টাকা দিবস’ হিসেবে উদযাপন করতে যাচ্ছে। এই বিশেষ দিনটি কখনোই উদ্যাপন করা হয় নি। তাই ব্যাংক নোটবিষয়ক তথ্য ও গবেষণাধর্মী পত্রিকা ‘কালেক্টার’–এর পক্ষ থেকে দিনটি উদ্যাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে ‘টাকা দিবস’।
দিবসটি উপলক্ষে ৪ ও ৫ মার্চ দুই দিনব্যাপী সংগ্রাহক মহাসমাবেশের আয়োজন করবে কালেক্টার পরিবার।
টাকার ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েই দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কালেক্টার পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও মুদ্রা সংগ্রাহক প্রকৌশলী এসএম আকিবুর রহমান।
তিনি বলেন, টাকাকে কেন্দ্র করেই দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপ্তি বাড়ছে। তবে টাকার ব্যবহারে এখনো অনেক মানুষ সচেতন নন। ফলে কাগুজে মুদ্রাগুলো দ্রুত পুরনো হয়ে যায় বা স্থায়িত্ব কমে যায়।
আকিবুর রহমান জানান, কালেক্টার পত্রিকাটি স্থানীয় মুদ্রার ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করে। ৪৯ বছর হলো টাকা চালু হয়েছে, কিন্তু এ দিবসটি আলাদাভাবে পালন করা হয়নি কখনো। তারাই প্রথম এই দিবসটি উদযাপনকে কেন্দ্র করে দু’দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।
প্রবাস আলো /মো মিরাজ আহাম্মেদ