হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা, মন্দির এবং প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার (১১ আগস্ট) খিমে রাধা কৃষ্ণ মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকজন ছাড়াও বিভিন্ন দল, ধর্ম, এবং বর্ণ নির্বিশেষে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আসা ইসকন মন্দিরের প্রধান পূজারী শ্রী শ্যামানন্দ প্রভু।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদিও বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার আইন রয়েছে, তবুও কখনও কখনও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, বৈষম্য, এবং সামাজিক অস্থিরতার কারণে সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রায়ই ধর্মীয় সহিংসতা, বৈষম্য, এবং সামাজিক নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়।
বক্তারা বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেতন থাকতে হবে। যেকোনো হুমকি বা আক্রমণের সময় দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নিতে হবে। অন্যদিকে, সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের উচিত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। বক্তারা অবিলম্বে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা বন্ধ এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কেবল সরকার নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের দায়িত্ব। ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এ সমস্যা সমাধান সম্ভব।
মানববন্ধন শেষে খিমে রাধা কৃষ্ণ মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়সহ সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ যাতে নিরাপদে থাকতে পারে তার প্রার্থনা করা হয়।