প্রবাস আলো ডেস্ক: সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার সিলেট শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে সাধারণ মানুষ।
ঐ ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানান শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী।
তিনি বলেন, “ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এজাহারে ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং তিন জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।”
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সিলেটের টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজের গেটের সামনে থেকে ঐ তরুণীকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। ঐ তরুণী তার স্বামীর সাথে একটি গাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
তরুণীর স্বামী এজাহারে উল্লেখ করেন, তার স্ত্রীকে যখন জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন দুই ব্যক্তি তাকে গাড়িতে আটক করে রাখে।
এর ঘণ্টাখানেক পর এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের একটি কক্ষের সামনে থেকে নিজের স্ত্রীকে বিধ্বস্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্বামী।
পরে রাতেই ঐ তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
এমসি কলেজের হোস্টেলের পাশের আবাসিক এলাকার এক বাসিন্দা জানান রাতে বেশ কিছুক্ষণ ছাত্রাবাসের ভেতর থেকে চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন তিনি। পরে একপর্যায়ে নারী কন্ঠের চিৎকার শুনতে পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে স্থানীয় আরো কয়েকজনকে নিয়ে ছাত্রাবাস এলাকার ভেতরে প্রবেশ করেন।
সেসময় হোস্টেলের পাশের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে কর্মচারীরা জড়ো হলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন তারা।
সকালে এই ঘটনার প্রতিবাদে এমসি কলেজের ভেতরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এরপর দুপুর থেকে কলেজের মূল প্রবেশদ্বারের বাইরে ও টিলাগড় এলাকাসহ আশেপাশের এলাকাতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে শিক্ষার্থীরা।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল বলে বলা হচ্ছে, তবে পুলিশ এখনো তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ওদিকে এমসি কলেজের হলে তল্লাশী চালিয়ে একজন অভিযুক্তের কক্ষ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আলাদা একটি মামলা করেছে।
শেষ খবর পর্যন্ত এই ঘটনায় দুপুর পর্যন্ত অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সূত্র: বিবিসি।
প্রবাসআলো/ এম এইচ