মালদ্বীপে সমুদ্রের উপরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ রিসোর্ট

প্রবাস আলো ডেস্ক:মালদ্বীপের রিসোর্ট আর বিলাসিতা যেন একটি আরেকটির সঙ্গে জড়িত। সাগরের বুকে ছোট্ট এই দেশ পর্যটনের জন্য বিখ্যাত এছাড়াও এর দৃষ্টিনন্দন করা অনেক রেকর্ড রয়েছে।তবে আগের সবগুলোকে ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়লো ‘সোনেভা ফুশি’। দাবি করা হচ্ছে, এটাই পানির ওপর গড়া বিশ্বের বৃহৎ ভিলা। এতে রয়েছে বিশাল আকারের এক বেডরুম ও দুই বেডরুমের কয়েকটি ভিলা।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর ‘সোনেভা ফুশি’র উদ্বোধন হয়েছে। রিসোর্টটিতে এক বেডরুমের ভিলার আয়তন ৬ হাজার ২৮৫ বর্গফুট আর দুই বেডরুমের ভিলার দৈর্ঘ ৯ হাজার ২২৪ বর্গফুট। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকলিনের গড় অ্যাপার্টমেন্টের চেয়ে আট গুণ এবং লন্ডনে মানসম্পন্ন ফ্ল্যাটের চেয়ে ১২ গুণ বড় সোনেভা ফুশির রুম গুলো। সুতরাং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভ্রমণের জন্য এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে।

সোনেভা ফুশির ছাড়াও মালদ্বীপে অনেক রিসোর্ট রয়েছে কিন্তু এক বেডরুম ও দুই বেডরুমের ভিলা হিসেবে এটাই সবচেয়ে বড়। নতুন রিসোর্টটিতে আটটি স্যুট বুকিং দেওয়া যাচ্ছে। এগুলোর নাম ‘ওয়াটার রুমস’। সবকটিতেই কাচের মেঝে রয়েছে। ফলে নৌযানে না চড়েই সাগরের প্রবাল ও মাছ খুব কাছ থেকে দেখা যায়।

প্রতিটি স্যুটে মিলছে আলাদা আউটডোর বাথটাব, কাঠ দিয়ে বানানো বারান্দা, সূর্যস্নানের আসন, ১৯ মিটারের ওয়াটার সাইড। এছাড়াও ওপর থেকে সাইড দিয়ে সাগরের জলে গড়িয়ে পড়া যায়। সমুদ্রের পানি নামা যথেষ্ট মনে না হলেও অসুবিধা নেই, এখানে পুল সুবিধা আছে। মাথার ওপর ছাদ চাইলে সরিয়ে রাতে বিছানা থেকেই খোলা আকাশ দেখার সুযোগ রয়েছে।

রিসোর্টটিতে কয়েকটি রেস্তোরাঁ (চকোলেট রুমসহ), একটি কিডস ক্লাব, টেনিস কোর্ট, মহাকাশ দেখার টেলিস্কোপ, স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্য প্রবালপ্রাচীর ও গ্লাস-ব্লোইং সেন্টার। এছাড়া রুম সার্ভিস পাওয়া যাবে সারাক্ষণ।

সোনেভা ফুশির লিভিং রুমসোনেভা ফুশিতে রয়েছে ভারত মহাসাগরে বৃহত্তম আউটডোর প্রেক্ষাগৃহ ‘সিনেমা প্যারাডিসো’। ফলে কোথাও না গিয়েও সারাদিন দিব্যি কেটে যাবে। এখানে এক বেডরুমের ভাড়া প্রতিরাত ২ হাজার ৬২৬ মার্কিন ডলার (২ লাখ ২৩ হাজার টাকা)। দুই বেডরুমের ভিলা প্রতিরাত ৫ হাজার ২৩২ মার্কিন ডলার (সাড়ে ৪ লাখ টাকা)। মালদ্বীপের অন্যান্য ভ্রমণ গন্তব্যের মতো ‘সোনেভা ফুশি’ একটি পৃথক দ্বীপে অবস্থিত। এর নাম কুনফানেডু আইল্যান্ড। দেশটির সব রিসোর্টেই আগাম বুকিং দিতে হয়। করোনাভাইরাস মহামারীর হতাশা কাটাতে এখন যারা ভ্রমণে তুমুল আগ্রহী তাদের জন্য সুখবর, মালদ্বীপে যেকোনও দেশের পর্যটকরা যেতে পারছেন। জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে দেশটি ভ্রমণে বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। এমনকি করোনা নেগেটিভ সনদও লাগে না। শুধু একটাই নিয়ম- প্রত্যেকে যে দ্বীপে যাবেন, তাকে শুধু সেখানেই বেড়াতে হবে।

প্রবাস আলো/ এম এম