আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের সহযোগিতা সংগঠন ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ পর্বত হাল্লাসান জয় করলেন বাংলাদেশী নারী রাবেয়া সুলতানা। ১৯৫০ মিটার উচ্চতার পর্বতটির চূড়ায় আরোহনে প্রায় ৪ ঘণ্টা এবং নামতে ৩ ঘণ্টা সময় লাগে তার।
পর্বতারোহীদের জন্য হাল্লাসানের মাঝে কয়েক জায়গায় বিশ্রামের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি বড় বিশ্রামাগার এবং ছোট ছোট কয়েকটি বসার জায়গাও রয়েছে।
সর্বোচ্চ চূড়া বিজয়ী আরোহীদের দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু প্রদেশের মাউন্ট হাল্লাসান কর্তৃপক্ষ সনদ প্রদান করে থাকে। তবে শর্ত হলো, প্রমাণস্বরুপ চূড়ায় পৌঁছে সেখানে থাকা একটি নির্দিষ্ট পাথরের সঙ্গে ছবি তুলে সেটি কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হবে।
গতকাল (৩ অক্টোবর) রাবেয়ার হাল্লাসান চূড়া জয়ের গৌরব অর্জন করেন। পর্বত থেকে নামার পরপরই তার হাতে সনদ তুলে দেয় কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী রাবেয়া সুলতানা শখের বসে পর্বতারোহন করে থাকেন। এর আগে ছোটখাটো দু’তিনটি পর্বত চুড়ায় আরোহন করলেও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোন পর্বতের চূড়ায় এই প্রথম তিনি আরোহন করেন।
হাল্লাসান আরোহনের পূর্বে রাবেয়া প্রস্তুতি হিসেবে হালকা পোশাক পরিধানের পাশাপাশি হালকা খাবার হিসেবে পানি ,জুস, কিছু রসালো ফল ও চকলেট সঙ্গে নেন।
রাবেয়ার স্বামী মোহাম্মদ ইয়াসিন শেখ জানান, সকাল ৮ টা ৪০ মিনিটে রাবেয়া হাল্লাসান পর্বতে চূড়ায় আরোহনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। এরপর ১৯৫০ মিটার দীর্ঘ জটিল পথ পাড়ি দিয়ে দুপুর ১ টা ১৫ মিনিটে হাল্লাসানের চূড়ায় পৌঁছেন। সেখানে পৌঁছে আধঘণ্টা অন্য আরোহীদের সাথে সময় কাটানো, ছবি তোলা এবং অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করে বিকেল ৫ টা নাগাদ নিচে নেমে আসেন।
প্রথম বাংলাদেশী নারী হিসেবে হাল্লাসান জয়ে উচ্ছসিত রাবেয়া সুলতানা জানান, এটি তার জন্য অনেক গর্বের বিষয়। পর্বত আরোহনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে রাবেয়া জানান, ‘সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠতে পেরে সত্যি আমি গর্বিত। অনেক কষ্টের কিন্তু উপভোগ্য ছিল এটি। বিশেষ করে মেঘের রাজ্যে এক নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে।
২০১৯ সালে রাবেয়া দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। বাংলাদেশে তার গ্রামের বাড়ি খুলনার দৌলতপুর উপজেলার দেয়ানা দক্ষিণ পাড়া গ্রামে।
প্রবাস আলো/এএম