প্রবাস আলো ডেক্স: দীর্ঘ প্রচেষ্টা এবং কূটনৈতিক যোগাযোগের পর লিবিয়ার দার্জ ডিটেনশন সেন্টারে আটক ৮৬ জনসহ মোট ১১৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আইওএম এর সহায়তায় দেশে প্রেরণ করা সম্ভব হয়েছে। আইওএম কর্তৃক ভাড়াকৃত লিবিয়ার বুরাক এয়ারের চার্টার্ড ফ্লাইটটি (UZ220) মেতিগা বিমানবন্দর হতে ১৬ নভেম্বর ২০২১ তারিখে সন্ধ্যা ০৬:৩০ ঘটিকায় উড্ডয়ন করেছে এবং ১৭ নভেম্বর স্থানীয় সময় বেলা ১১:৪৫ ঘটিকায় ঢাকায় অবতরণ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রত্যাবাসনকৃত বাংলাদেশিদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ এবং আরো ১১ জন ত্রিপলীর তারিক সিক্কা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন।
বিশেষকরে দার্জ ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশিদের দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য দূতাবাস হতে দীর্ঘদিন যাবত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছিল। মান্যবর রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান মহোদয়ের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আইওএম বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্ণিত চার্টার্ড ফ্লাইটটি পরিচালনা করতে সম্মত হয়। এই লক্ষ্যে দূতাবাস হতে দার্জ ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশিদেরকে ত্রিপলীতে স্থানান্তরের জন্য লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অবৈধ অভিবাসন অধিদপ্তর (DCIM), ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর এবং আইওএম এর সাথে চতুর্মুখী সমন্বয় করা হয়। পরিশেষে অদ্য (১৬ নভেম্বর) সকালে দার্জের নিকটবর্তী গাদামেস শহর থেকে একটি অভ্যন্তরীণ বিশেষ ফ্লাইটযোগে তাদেরকে ত্রিপলীতে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয় মেতিগা বিমানবন্দরে প্রত্যাবর্তনকারীদের কল্যাণে দূতাবাস কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন এবং তাদেরকে বিদায় জানান। এসময় তিনি দার্জ ডিটেনশন সেন্টার হতে ৮৬ জন বাংলাদেশিকে ত্রিপলীতে স্থানান্তর পূর্বক চার্টার্ড ফ্লাইটটি যথাসময়ে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অভিবাসন অধিদপ্তর (DCIM) এবং মেতিগা বিমানবন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ এবং আইওএমকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এএসএম/প্রবাস আলো