শরতের ছোয়ায় নানা বৈচিত্র্যময় ফুলের বিন্যাস

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পুষ্প সৌন্দর্য, স্নিগ্ধতা ও পবিত্রতার প্রতীক। এর পাঁপড়ির বিন্যাস, রঙের বৈচিত্র্য ও গন্ধের মাধুর্যে আমাদের মন এক স্বর্গীয় আনন্দে ভরে উঠে। ফুলের সৌন্দর্য এক দিকে যেমন মানুষকে বিমোহিত করে তেমনি এর সৌন্দর্য প্রাকৃতিক পরিবেশকে করে তোলে আকর্ষণীয়।
আধুনিক যুগে নগরায়ন ও সভ্যতা বিকাশের সাথে সাথে তালমিলিয়ে দিন দিন ফুলেরও নানা বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিটি ঋতুতেই নানা ধরনের ফুলে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে রাখে তাই নিজ রূপে।


সাধারণত দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রতিটি ঋতুতেই প্রকৃতি সাজে তার ভিন্ন সাজে। তবে শরৎ এবং বসন্ত ঋতু দুইটিতে দক্ষিণ কোরিয়াতে বিভিন্ন রূপের ফুলের সমাগম বেশি দেখা যায়। তাই এইসময় এখানে বিভিন্ন স্থানে ফুলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে বিভিন্ন ফ্লাওয়ার ফেস্টিভ্যাল। নানা জাতের নানা রঙের ফুলের মাধুর্যে ভরে উঠে বিভিন্ন পর্যটন স্থান গুলো।
দক্ষিণ কোরিয়াতে চলছে এখন শরৎের আমেজ।
শরৎকে কেন্দ্র করে এখানে গড় তুলা হয় বিভিন্ন পর্যটন স্থান।
তার মধ্যে অন্যতম খিয়ংগি-দো প্রদেশের ইয়াংজু শহরের নারি পার্ক(양주 나리공원)।
나리 শব্দের বাংলা অর্থ শাপলা ফুল। এই পার্কের প্রবেশ দ্বারে একটি ছোট্ট জলাশয় রয়েছে সেখেনে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের শাপলা ফুল। সম্ভবত ঐ ফুলের সাথে মিল রেখেই এই পার্কের নাম রেখেছে
(나리공원)।
প্রতি বছরের মত এবারও পার্ক সাজানো হয়েছে বিভিন্ন জাতের ফুল গাছ দিয়ে,তার মধ্যে অন্যতম Globe Amaranth(천일홍),KOCHIA(꽃담싸리),Pink Muhlenbergia Capillaris (핑크뮬리)। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন রঙ্গের বিভিন্ন জাতের গোলাপ।
Globe Amaranth(천일홍) ফুলটি আমাদের দেশে বোতাম ফুল হিসেবে পরিচিত, ফুলটিকে ব্যচেলর বাটন নামেও ডাকা হয়।


천일홍 ফুলটি এক হাজার দিনের অপরিবর্তিত ফুল হিসাবে পরিচিত কারণ ফুলটি শুকিয়ে যাওয়ার পরও এর রঙ পরিবর্তন হয়না। ফুলটি কোরিয়ানদের কাছে শাশ্বত এবং অপরিবর্তিত প্রেমর প্রতীক। কোরিয়ার তরুণ প্রেমিদের এবং দম্পতিদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।

এই বছর করোনা ভাইরাসের জন্য পূর্বে বন্ধ ঘোষণা করলেও পরবর্তীতে গত ১৫ই অক্টোবর থেকে সর্বসাধারণের জন্য প্রবেশ উন্মুক্ত (টিকিট ফ্রী) করে দিয়েছে পার্কের কর্তৃপক্ষ এবং উন্মুক্ত বা খোলা থাকবে আগামী ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত। পার্কে প্রবেশ করা যায় সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।

দক্ষিণ কোরিয়ার ভ্রমন পিপাসু ও প্রকৃতিপ্রেমীরা যান্ত্রিক জীবন থেকে বেরিয়ে ছুটির দিনে কিংবা অবসরে ঘুরে আসতে পারেন পার্কটিতে। অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং নিয়ম মেনে।

Yangju’s Nari Park (양주나리공원)
ঠিকানা: 경기도 양주시 광사로 131-66

যেভাবে যাবেন : সিউল মেট্রোট্রেন ১ নম্বর লাইনে ইয়াংজু স্টেশন গিয়ে ২ নম্বর এক্সিট দিয়ে বের হয়ে ৮০ নম্বর বাসে চড়ে চলে যাবেন হেদোং ভিলেজ(해동마을)। ট্রেন স্টেশন থেকে টেক্সিতেও যেতে পারেন ৮/১০ মিনিট সময় লাগবে টেক্সি ভাড়া ৭/৮ হাজার উয়ন নিতে পারে।

ভ্রমণ হোক আনন্দের ও নিরাপদ। যেখানেই যাবো অবশ্যই পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবো।

প্রবাস আলো / মো মিরাজ আহাম্মেদ