ফ্লাইট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে সৌদি আরব

প্রবাস আলো ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ফ্লাইট প্রবেশের ক্ষেত্রে জারি করা সাময়িক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে সৌদি আরব। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে আজ রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানায়।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে বলা হয়, দুই সপ্তাহের সাময়িক নিষেধাজ্ঞার পর আকাশ, ভূমি ও সমুদ্রপথে সৌদি আরবে প্রবেশ রোববার থেকে চালু হচ্ছে।

সৌদি আরবের স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, রোববার থেকে প্রবেশ চালু হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকবে।

যুক্তরাজ্যসহ যেসব দেশে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে—সেসব দেশ থেকে সৌদির নাগরিক নন এমন যাঁরা সৌদি আরবে আসবেন, তাঁদের অন্তত ১৪ দিন অন্য দেশে থাকতে হবে বলে জানান সৌদির স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।

করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে—এমন দেশ থেকে সৌদির যেসব নাগরিক মানবিক বা জরুরি প্রয়োজনে দেশে আসবেন, তাদের ১৪ দিন নিজ ঘরে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত ও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ ডিসেম্বর সৌদি আরব কোনো ব্যতিক্রম ছাড়া সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া সড়ক–সমুদ্রপথেও সৌদি আরবে প্রবেশ-বাহির নিষিদ্ধ করা হয়।

প্রথমে এক সপ্তাহের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পরে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়। এখন এই নিষেধাজ্ঞা তুলে দিল সৌদি আরব।

করোনার নতুন ধরন প্রথম শনাক্ত হয় যুক্তরাজ্যে। গত অক্টোবর থেকে দেশটিতে করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। ধরনটি শনাক্তের পর ১৪ ডিসেম্বর এ-সংক্রান্ত তথ্য জানায় যুক্তরাজ্য। পরে যুক্তরাজ্যের বাইরে আরও অনেক দেশে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়। যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার জেরে সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়।

করোনার নতুন ধরন আগের ধরনের তুলনায় দ্রুত ও বেশি ছড়ায় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের তথ্যের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্য জানায়, করোনার আগের ধরনের তুলনায় নতুন ধরনের ছড়ানোর ক্ষমতা ৭০ শতাংশ বেশি।

চলতি মাসের শুরুর দিকে সৌদি আরবে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়।

সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনায় দেশটিতে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মারা গেছেন ৬ হাজার ২৩০ জন।

প্রবাসআলো/এম এইচ